দেশের সিংহভাগ মেয়েরাই ফ্যামিলির সুখের জন্য বাবা-মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে টাকাকে বিয়ে করতে হয়।আই রিপিট টাকাকেই বিয়ে করতে হয়।আমি বলছিনা আমাদের বাবা-মারা আমাদের ভালো চায়না।অবশ্যই আমাদের ভালো চায় তবে কিছু কিছু সময় সন্তানদের ভালো চাইতে গিয়ে সবচেয়ে বড় ক্ষতিটাই ওনারা করে ফেলেন।
.
পুরুষ সমাজে সগৌরবে বলে থাকে পুরুষরাই জীবনে সবচেয়ে বেশি সেক্রিফাইজ করে।হ্যা আমিও মানি কারন পুরুষরা জীবনের এক তৃতীয়াংশ সময় তার পরিবারের জন্য বিসর্জন দেয় বা দিচ্ছে।
.
তারপরও পুরুষের স্বাধীনতা আছে।আপনার যাকে ইচ্ছে তাকে বিয়ে করতে পারবেন নিজের পছন্দমত।একটা মানুষ সব দিয়ে দিতে পারে তবে নিজেকে দিয়ে দেয়াটাই সবচেয়ে বড় বিসর্জন।
.
একটু ভালোভাবে খেয়াল করলেই দেখবেন ছোটবেলা থেকে ছেলে মেয়ে উভয়ই তাদের পছন্দমতো সব করে কাপড়-চোপড় থেকে শুরু করে সবটাই নিজের পছন্দে কিনে।আর সেটাই সে বেছে নেয় যেটা তার জন্য বেষ্ট।
.
কিন্তু একটা মানুষ একটা মানুষের সাথে আজীবন এক বিছানায় থাকবে।মানুষটার সাথে পথ চলবে যখন ইচ্ছে মানুষটাকে ভোগ করবে আর সেই মানুষটাকে যদি পছন্দ করতে হয় পরিবারের কথা ভেবে তখন?
.
এত বড় বিসর্জন কখনো কোন পুরুষ করতে পারবেনা কারন পুরুষ সেক্রিফাইজ করে দাতা হয় আর নারীতো হয় দাসী।
.
অনেক সময় দেখা যায় মতের বিরুদ্ধে গিয়ে অনেক পুরুষ বিয়ে করে।কিন্তু পুরুষ চাইলে বিয়ের পর নারীর অমতেও তাকে ভোগ করার অধিকার পায়।কিন্তু নারী কখনো জোড় করে পুরুষের কাছ থেকে সেটা আদায় করতে পারেনা।
.
যত বড় অপছন্দের মানুষই হোক বা ঘৃনায় নাক সিটকে আসে তবুওতো স্বামী।আমার ইচ্ছে করছেনা এইটুকু বলার সাহসও তার হয়না।
.
গায়ের উপর হিংস্র কোন পশুর মতো থাবা বসিয়ে ক্লান্ত হয়ে চুপচাপ নেমে যাবে।অথচ মেয়েটা একদলা মাংস পিন্ডের মত তছনছ হলো এটা পুরুষ তোয়াক্কাই করবেনা।তার নরম হৃদপিন্ডে এক চুলও দোলা লাগবেনা।
.
এই হৃদপিন্ড বিসর্জন মেয়েদের চেয়ে ভালো আর কেউ দিতে পারেনা।শত কষ্ট চুপচাপ মেনে নেয়া যায় স্বাধীনতার জন্য।
.
কিন্ত সেচ্ছায় পরাধীনতা মেনে নিয়ে যে নারী সবাইকে সুখী করে তার বিসর্জনের তুলনা কোন কিছুর সাথে হয়না ||কোন কিছুর সাথেই না....
No comments:
Post a Comment
thank you...