Friday, May 2, 2014

''এটা সত্যি ঘটনা''

অরুণা কর্ণাটকের এক গ্রামের মেয়ে, ১৯৬৬ সালে আঠারো বছর বয়সে সে গ্রাম ছেড়ে মুম্বাই শহরে আসে, পড়াশোনা করতে। স্বপ্ন নার্স হওয়ার। সাত বছর অনেক পরিশ্রমের পর যখন সে জুনিয়র নার্স হিসেবে হাসপাতালে যোগ দিলো তখন সে উদ্যমী এক তরুণী। রোগীর সেবা করাই যার জীবনের লক্ষ্য। অরুণা শুধু নার্স নয় সহকর্মী হিসেবেও প্রিয় ছিল বাকী নার্সদের কাছে।
জীবন ভালই চলছিল। এরপর সদ্য পাস করা এক ডাক্তারের সাথে প্রেম হয় অরুণার। একটা বাড়ি, নিজেদের ক্লিনিক করে বিয়ে করবে তারা।
একদিন অরুণা হাসপাতালের বেজমেন্টে কাপড় পাল্টাতে যায়। অরুণাকে একা ছিল, তখন ওয়ার্ডবয় সোহানলাল ঢুকে পড়ে।
ধর্ষণ করার চেষ্টা করা হয় তাকে।
পিরিয়ডে ছিল বলে সোহানলাল তাকে Sodomize করে।
অরুণা বাঁধা দিতে গেলে পেছন থেকে চেইন দিয়ে শ্বাসরোধ করা হয়। মস্তিষ্কে অক্সিজেন সাপ্লাই বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মস্তিষ্ককাণ্ড এবং সারভাইকাল কশেরুকা আঘাতপ্রাপ্ত হয়। অরুণা অন্ধ হয়ে যায় এবং vegetative state এ চলে যায়।
২৫ বছর বয়সী প্রাণোচ্ছল অরুণা বোধশক্তিহীন জড় হয়ে যায়।
কর্মক্ষেত্রের এক কেবিনে অরুণা শুয়ে থাকে। তার সহকর্মী নার্সরা তাকে পরম মমতায় আগলে রাখে। পরিবার থেকে কেউ তার খোঁজ নিতে আসেনি। এদিকে সোহানলালকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাক্ষীর অভাবে তার চুরি আর হত্যার চেষ্টার দায়ে মাত্র সাত বছরের জেল হয়। এরপর প্রমাণের অভাবে সাতবছর পর সে আবার হাসপাতালে ওয়ার্ডবয় হিসেবে যোগ দেয়।
এরপর আর অরুণার স্বপ্নপূরণ হয়নি। ভালবাসার মানুষটা অন্যের হাত ধরেছে। তবে সহকর্মীদের সহায়তায় সে একটা নিশ্চিত আশ্রয় পেয়েছে। ৩৭ বছর ধরে সেই হসপিটালের কেবিনে অরুণা জীবন্ত ফসিল হয়ে ছিল হয়তো এখনো আছে।

সবটাই সত্যি। নামও পরিবর্তন করিনি।

No comments:

Post a Comment

thank you...