Saturday, December 23, 2023

"পুরুষ সেক্রিফাইজ করে দাতা হয়" আর "নারী হয় দাসী"

দেশের সিংহভাগ মেয়েরাই ফ্যামিলির সুখের জন্য বাবা-মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে টাকাকে বিয়ে করতে হয়।আই রিপিট টাকাকেই বিয়ে করতে হয়।আমি বলছিনা আমাদের বাবা-মারা আমাদের ভালো চায়না।অবশ্যই আমাদের ভালো চায় তবে কিছু কিছু সময় সন্তানদের ভালো চাইতে গিয়ে সবচেয়ে বড় ক্ষতিটাই ওনারা করে ফেলেন।

.

পুরুষ সমাজে সগৌরবে বলে থাকে পুরুষরাই জীবনে সবচেয়ে বেশি সেক্রিফাইজ করে।হ্যা আমিও মানি কারন পুরুষরা জীবনের এক তৃতীয়াংশ সময় তার পরিবারের জন্য বিসর্জন দেয় বা দিচ্ছে।

.

তারপরও পুরুষের স্বাধীনতা আছে।আপনার যাকে ইচ্ছে তাকে বিয়ে করতে পারবেন নিজের পছন্দমত।একটা মানুষ সব দিয়ে দিতে পারে তবে নিজেকে দিয়ে দেয়াটাই সবচেয়ে বড় বিসর্জন।

.

একটু ভালোভাবে খেয়াল করলেই দেখবেন ছোটবেলা থেকে ছেলে মেয়ে উভয়ই তাদের পছন্দমতো সব করে কাপড়-চোপড় থেকে শুরু করে সবটাই নিজের পছন্দে কিনে।আর সেটাই সে বেছে নেয় যেটা তার জন্য বেষ্ট। 

.

কিন্তু একটা মানুষ একটা মানুষের সাথে আজীবন এক বিছানায় থাকবে।মানুষটার সাথে পথ চলবে যখন ইচ্ছে মানুষটাকে ভোগ করবে আর সেই মানুষটাকে যদি পছন্দ করতে হয় পরিবারের কথা ভেবে তখন?

.

এত বড় বিসর্জন কখনো কোন পুরুষ করতে পারবেনা কারন পুরুষ সেক্রিফাইজ করে দাতা হয় আর নারীতো হয় দাসী।

.

অনেক সময় দেখা যায় মতের বিরুদ্ধে গিয়ে অনেক পুরুষ বিয়ে করে।কিন্তু পুরুষ চাইলে বিয়ের পর নারীর অমতেও তাকে ভোগ করার অধিকার পায়।কিন্তু নারী কখনো জোড় করে পুরুষের কাছ থেকে সেটা আদায় করতে পারেনা।

.

যত বড় অপছন্দের মানুষই হোক বা ঘৃনায় নাক সিটকে আসে তবুওতো স্বামী।আমার ইচ্ছে করছেনা এইটুকু বলার সাহসও তার হয়না।

.

গায়ের উপর হিংস্র কোন পশুর মতো থাবা বসিয়ে ক্লান্ত হয়ে  চুপচাপ নেমে যাবে।অথচ মেয়েটা একদলা মাংস পিন্ডের মত তছনছ হলো এটা পুরুষ তোয়াক্কাই করবেনা।তার নরম হৃদপিন্ডে এক চুলও দোলা লাগবেনা।

.

এই  হৃদপিন্ড বিসর্জন মেয়েদের চেয়ে ভালো আর কেউ দিতে পারেনা।শত কষ্ট চুপচাপ মেনে নেয়া যায় স্বাধীনতার জন্য।

.

কিন্ত সেচ্ছায় পরাধীনতা মেনে নিয়ে যে নারী সবাইকে সুখী করে তার বিসর্জনের তুলনা কোন কিছুর সাথে হয়না ||কোন কিছুর সাথেই না....

Sunday, March 13, 2022

চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কবিতা "বীরঅলর ভূমি চাটগাঁ'


উঁইন্নু না তোঁয়ারা হনোদিন সূর্যসেনঅর নাম?
জীবন দিয়িল দেশঅর তরে প্রীতিলতা-ক্ষুদিরাম
কেল্লা গাঁড়ি লড়াই গইজ্জি সৈনিক তিতুমীর,
শহীদ অইয়েরে পরান দিয়ি চাটগাঁর হতো বিদ্রোহী মহাবীর

প্রকৃতির প্রেমত মজি-গেই আঁই এই লাল সবুজুর দেশে,
গান গায় গেইয়ি শেফালী-শ্যামসুন্দর আরো হতো ফইর-বাউল বেশে!
থিয়েই আছে মঞ্চঅত আইজু জহুর আহমদ চৌধুরী
বারবার উঁনি চাটগাঁর ইতিহাসত মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাণী!

লালডির ময়দানত হান পাতিলি উঁনা যায় 
বঙ্গবন্ধুর সেই তেজোদীপ্ত ভাষন ;

‘তোরা দেখিস,
যেদিন আমার চট্টগ্রাম জাগবে সেদিনই 
আমার বাঙালি জাগবে,
আমার স্বাধীনতা আসবে,
আমার বিজয় আসবে...

যেই দেশত গুলিবিদ্ধ শেখ মুজিবুর দেহ,
আশা ন গরি এডে কিয়ার আদর-প্রীতি স্নেহ!
স্বপনত দেহি নিশী রাতিয়ে নব জোয়ান ময়দানে,
মুক্তি তোয়ায় দিনুত রাজপথঅত মিছিলুর শ্লোগানে!

লউর ঢেউ বাইয়ে বউত স্বাধীনতাহীন রণে,
আপোষ নঅ গরে হনোদিন চাটগাঁয়াঅল শত্রু-অক্কুমুর সনে!

ইউসুফ জোলেহার কাব্য'অত বাঁচি আছে
কবি শাহ মুহাম্মদ সগীর, 
চাটগাঁইয়ে পুয়া-বুড়োর মনত গাঁথি আছে হতো সুর
আব্দুল গফুর হালীর!

একদিন মলই ঘোষ দস্তিদার গায়িল ;

"অভাই আঁরা চাটগাঁইয়া নও জোয়ান
দইজ্জের কুলুত বসত গরি আঁরা সিনেদি 
ঠেগাই ঝড়-তুয়ান"


চাটগাঁসহ পুরো বাংলাদেশঅত আছিল
যত বীর মহাবীর, লেখক-কবি গায়ক-গাজী
সশ্রদ্ধ সালাম'অর ওয়াঁরে বিয়াজ্ঞুনুর তরে জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি

কবিতা : বীরঅলর ভূমি চাটগাঁ 
কলমে : এস.এইচ রুবেল (ফেরারী)
স্বেচ্ছাসেবক কর্মী ও ব্লগার
রচনাকাল : ২৫ ফাল্গুন ১৪২৮ বঙ্গাব্দ

Monday, February 7, 2022

"পরীর সাথে দাদির কথপোকথন"

দাদি : ও পরী, 
ওওওওওওও  পরী? 

পরী : হুম বলো দাদি শুনছি তো! 

দাদি : এ্যাঁই,
তুই নাকি প্রেম করিস? 
পরী : হ্যাঁ করি তো, এটা তো এখন সবাই করে তাই আমিও করি!

দাদি : প্রেমিক পুরুষ কিছু চায় তোর কাছে? 

পরী : হুম চায় তো, চাইবেনা কেন, আমার কাছে না চাইলে আর কার কাছে চাইবে? 

দাদি : ওওওও বুচ্ছি, 
আচ্ছা, ও পরী, 
কি কি  চায় রে তোর প্রেমিক পুরুষ? 

পরী : ছেলেটা বড্ড নিরামিষ, একটু ভালোবাসা পেলেই তুষ্ট! 

দাদি : তো সেটা কি, কিরাম ভালোবাসা রে? 

পরী : এই তো ধরো,
সকালে কাজে যাওয়ার আগেই আমার পক্ষ থেকে  একটা ফোন, কল অথবা একটা 
শুভ সকাল জানিয়ে মেসেজ তাকে দিতেই হবে, এটা সে চায়!
কখনো অসুস্থ হলে দিনে কয়েকবার তার খবর নিই এটা ও চায়,
সে আরো চায়,রোজ তার খবর যেন আমি রাখি, অবশ্য একবারই তো বললাম বড্ড নিরামিষ, অল্পতেই তুষ্ট!

প্রেমিক সামলাতে আমার একদম হিমশিম খেতে হয়না মুটেও!
খুব স্বাভাবিক একটা মানুষ, মনটাও ভিষণ বড়ো!
আমার মায়ের চয়েস আছে সেটা বলতেই হয়!

দাদি : কি বললি, তোর মায়ের চয়েস মানে?
এ আবার কিরাম কথা রে বাবা! 

আচ্ছা বাদ দে। 
তোর প্রেমিক পুরুষের কথাই শুনবো আজ শুধু, 
বাকি কথা পরে!

ওও আচ্ছা  এতোটুকুই বুঝি ওর চাওয়া?

পরী : হুম এর বাহিরেও কিছু চাওয়ার থাকে নাকি আবার? 

দাদি : কেন তুই কি আর কিচ্ছু জানিস না?
প্রেমিক পুরুষ তো আরো কতো কিছু চায়! 

পরী : কই না তো?

দাদি : তাহলে তো এক সোনার হরিণ মার্কা প্রেমিক পেয়েছিস তুই!

আচ্ছা এর আগে আর কোন দিন প্রেম-ট্রেম করেছিস? 

পরী : না গো দাদি না, এটাই শুরু.... হয়তো এটাই শেষ! 

অবশ্য  গায়ের রং একটু ফর্সা আর সবাই বলে চেহারায় ও নাকি অনেক মায়া, সেই কারণেই হয়তো ক্লাস থ্রি থেকেই এসব প্রপোজ-ট্রপ্রোজ পাওয়া শুরু হয়েছিল আমার জীবনে!

দাদি : তো তখন প্রেম করিস নি কেন? 

পরী : না গো দাদি, 
মা আমাকে বারণ করে বলেছে এসব ভালো না!
যত জনে যা বলবে সব এসে আমায় বলবি,
যদি কেউ কিছু হাতে দেয় নিবিনা, যদি খুব জোর করে তাহলে নিয়ে সোজা আমার হাতে এনে দিবি, 
ঐ এক কথার উপরেই রয়ে গেলাম!

দাদি : ও পরী তুই বুঝি সব তোর মাকে বলতিস? 

পরী : হুম তো আর কাকে বলবো? 
আমার তো আর কোন বন্ধু নেই, সেই জন্ম থেকেই পেয়েছি মাকে বন্ধু হিসেবে, 
জানো দাদি!
এ পর্যন্ত যত চিঠি পেয়েছি আমার জীবনে সব গুলো চিঠি হাতে পেয়েই এনে মায়ের হাতে দিতাম, আমি একটাও পড়তাম না, এবং এই প্রেমিকের চিঠি ছাড়া আর একটাও পড়িনি গো দাদি!

দাদি : কি বলিস এসব? 

পরী : হ্যাঁ সত্যি তো, বিশ্বাস না হলে মা কে জিজ্ঞেস করে দেখো!

এই প্রেমিক পুরুষ টা যেদিন চিঠি দিলো, 
সোজা এনে মা'কে দিলাম। 
মা এই প্রথম আমার দেওয়া কোন চিঠি পড়ে একা একা হাসলো! 
আমি খুব অবাক হলাম!
হাসার কারণ টা আর জিজ্ঞেস করা হয়নি সেদিন!
এক সাপ্তাহ পর আমার ভার্সিটির এডমিশন টেষ্ট ছিলো বরাবরই স্বপ্নের ভার্সিটিতে চান্স পেয়ে গেলাম!

তারপর আরো এক সাপ্তাহ কেটে গেলো ছেলেটা আবার আমার কাছে একটা ছোট বাচ্চা মেয়েকে দিয়ে একখানা চিঠি পাঠায়, 
সেটাও এনে মায়ের হাতে দিই, 
সেদিন ও দেখলাম মা হাসছে! 
কারণ টা সেদিন ও জানার প্রয়োজন মনে করিনি!

তারপর একদিন মায়ের সাথে নিউমার্কেট হয়ে বাসে উঠবো ঠিক ঐ মুহূর্তে পেছন থেকে কেউ একজন নাম ধরে খুব ডাকছে আমায়, 
পেছন ঘুরে দেখি সেই পুরুষ যে দু-দুবার চিঠি দিয়েছে, 
মা'ও চিনতে পেরেছে তাকে, 
মা আমাকে বলে চল ওর সাথে কথা বলবো, 
বাসে আর উঠলাম না, 
ছেলেটার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম, 
মাকে সালাম করে ছেলেটা মায়ের দিকে একটা পত্র বাড়িয়ে দিলো,

ততদিনে আমারও বেশ মনে ধরেছে ছেলেটাকে, 
কেমন যেনো অনুভব করছিলাম মনে মনে, 
জীবনে এই প্রথম খুব ইচ্ছে হচ্ছিলো পুরুষের হাত কেমন হয় সেটা একবার ছুঁয়ে দেখতে!

তবুও মা সামনে ছিলো তাই সাহস হয়নি, 
অবশ্য মা সামনে না থাকলেও সাহস হতোনা, 
প্রেমের বয়স দুই বছর পার হয়ে যাচ্ছে অথচ এখনো ছেলেটার হাত তুলতুলে না খসখসে সেটাই জানিনা!
জানো দাদি, 
খুব লাজুক ছেলে, 
কেমন যেনো!

দাদি : আচ্ছা ও সব বাদ দে, তারপর কি হলো সেটা বল,

পরী : তারপর মা ছেলেটার সামনেই কাগজ টা খুলে পড়তে লাগলো মনে মনে, এরপর 
আমার দিকে তাকিয়ে বললো, 
এই নে তোর প্রেমিক! 
আজ থেকে তোরা প্রেমিক -প্রমিকা! 

পরী তুই থাক, আমি বাসায় চললাম, 
আমি তো অবাক হয়ে শুনছিলাম, 
মা এসব কি বলছে,
ছেলেটা বললো, না না প্রয়োজন নেই ওকে বাসায় নিয়ে যান! 
*কেন প্রেমিকার হাত ধরে শহর ঘুরার ইচ্ছে নেই বুঝি? 

*নাহ্ তেমন ইচ্ছে এখন নেই, ভালোবাসা তো দূর থেকেও হয়!
আমি চললাম, দোয়া করবেন আন্টি!

*এই বলে হনহন করে চলে গেলো সামনে থেকে

তারপর থেকে মায়ের কথায় আমরা দু'জন প্রেমিক-প্রেমিকা!

দাদি : (দীর্ঘশ্বাস নিয়ে) ওহ্!

পরী : যেই প্রেমিক মা খুঁজে দেয় সেই প্রেমিক তো প্রেমিকই বটে!

দাদি : যাক রে পরী! 
*পেয়েছিস সোনার হরিণ। 
অমর্যাদা করিস নে কখনো, 
এমন প্রেমিক পাওয়া খুব দায়, 
হারাসনে যেন তুই অবহেলায়! 

★নোট :
আমার ব্যাক্তিগত জীবনে এই ব্যাপার টির উপর গবেষণা করে দেখেছি যে মেয়ে গুলোর সাথে মায়ের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক যতবেশি সেই মেয়ে গুলো নোংরা পথ থেকে দূরে থাকে ততবেশি, 
প্রতিটি মায়ের উচিত কন্যা সন্তানের প্রতি অধিক বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করা একদম ছোট বেলা থেকেই!
শাসনে নয় ভালোবাসায় বড় করতে হবে তাদের, 
আপনার সন্তান যেন আপনার সাথে সব ব্যাপারে খোলামেলা আলোচনা করতে পারে সেই সুযোগ তাকে দিন, তাকে রাতে দরজা বন্ধ করে ঘুমাতে দেবেন না! প্রয়োজনে একা ঘুমাতে দিবেন না, অধিকাংশ ক্ষেত্রে মায়েদের নজর দারির অভাবে কন্যা সন্তান গুলো বিপথগামী হচ্ছে!
সবশেষে একটা কথাই বলবো, 
আপনার সন্তানের সবচেয়ে কাছের বন্ধু মানুষ টি আপনি হয়ে যান, তারপর থেকে দেখবেন আপনার মেয়েটা চরিত্র নিয়ে স্বামীর ঘর পর্যন্ত পৌঁছাবে ইনশাআল্লাহ...

[লেখক ও সম্পাদক : 
   ফেরারী রুবেল]

Monday, January 17, 2022

অ'বা তুই নাই বলে (ডায়েরি থেকে)

অ'বা তুই নেই বলে...         

খুব প্রভাতে, আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম বলে 
যখন মুয়াজ্জিনের আযানের ধ্বণি ভেসে আসে!
তখন কেউ আর বলেনা অডা অ'পুত উঠি যা, নামাজ পড়ে একটু হেঁটে আই!

আমি ২০০ টাকা দিলে কেউ আর  ৫০০ টাকার বাজার করে নিয়ে আসে না,
*দুপুরে ভাত খেতে বাসায় না গেলে কেউ দোকানের সামনে এসে জিজ্ঞেস করে না; "অ'বা অ'পুত ভাত হাতি'কা ন য'অস" আমি তোর জন্য পছন্দের মাছ নিয়ে গেছি😭

শুধু তুই নেই বলে 'অ'বা'

তুই নেই বলে 'মা' বিধবার সাজে হয়ে গেছে
নিথর নিশ্চুপ, আত্মীয়-স্বজন আর বোনরাও কেউ আসেনা আগের মত আমাদের কাছে
তুই অ'বা নেই বলে!

অ'বা তোরে মনে পড়ে
রেখে যাওয়া হাজার স্মৃতির ভিড়ে!
যখনই তোর রেখে যাওয়া স্মৃতিগুলোর দিকে তাকাই
মনে হয় তুই আছিস!

যখন খাঁ মসজিদে যাই, প্রথম কাতারের ডান দিকে আমার চোখ চলে যায়, মনে হয় তুই মাথা ঝুঁকে বসে আছিস, মনে হয় এই তো আমার চোখে চোখ পড়ে যাবে তোর... 

কিন্তু অকস্মাৎ যখনই মনে পড়ে তুই নেই
ব্যাথায় বুকটা যায় ভেঙ্গে!
বলত অ'বা কোন দোষে তুই?
আমাদের ফেলে গেলি একাকী  ঐ দূর আকাশে!
চির বিদায় দিয়ে এ নশ্বর পৃথিবীকে!
তুই কি, শোনতে পাস না আমার আহাজারি
ঐ দূর আকাশে বসে?
তোরও কি মন কাঁদে না আমার কথা মনে করে?
নাকি, সব গিয়েছিস ভুলে?
জান্নাতে মখমলের বিছিনাতে শুয়ে!

আজ দুইটা মাস অ'বা তুই নেই...😭😭

#আঁর_বাপ
#নোট২৩

Monday, January 10, 2022

গল্পটা টাকার নয় 'সততার'

বিকাশে ভুল নাম্বারে টাকা চলে যাওয়া/চলে আসা নতুন কিছু নয় আমার সাথে!
ভুলক্রমে আমার অনেক টাকা লস দিতে হয়েছে, আমার জীবনে শুধু একবার ভুলে ভুল নাম্বারে চলে যাওয়া ১০,২০০ টাকা নোয়াখালীর একজন ব্যক্তি ১২০০ রেখে বাকি ৯০০০ টাকা ফেরত দিয়েছেন (অবশ্য আমি বলছিলাম ৫০০ টাকা রেখে দিতে) তাও উনার প্রতি আমি এখনো কৃতজ্ঞ...

গত ১১ সেপ্টেম্বর আমার পারসোনাল বিকাশ নাম্বারে ২০,৪০০ টাকা ঢুকলো, স্বাভাবিকভাবেই আমি মনে করছি পরিচিত কারো টাকা, পরে খোঁজ করবে!

একদিন পর, ১২ সেপ্টেম্বর, সকাল ১১টার দিকে অপরিচিত নাম্বার থেকে কল আসলো একটা মেয়ে কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে বললো,- আসসালামু আলাইকুম, ভুলে আপনার নাম্বারে ২০ হাজার টাকা চলে গেছে, (খুব বিনয়ের সাথে বললো কান্নার জন্য কথা বলতে পারছে না!

আমি বললাম,- আপনি কাঁদছেন কেনো? আপনার টাকা এসে থাকলে পেয়ে যাবেন, আপনি কোত্থেকে বলতেছেন?
মেয়েটা বললো,- শরিয়তপুর,
আমি বললাম,- আমি ব্যালেন্স টা একটু চেক করে আপনাকে ফোন দিচ্ছি!
দোকানে কেউ না থাকায় আমি অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পরি, ততক্ষণে মেয়েটা শখানেক কল দিয়েই যাচ্ছে,!

কল রিসিভ করার পর, মেয়েটা বললো,- ভাইয়া টাকা টা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা নাম্বারে পাঠাতে দিয়েছিলাম আব্বাকে দিয়ে, কিন্তু ভুলবশত একটা নাম্বার ভুল লেখে দিয়েছি, যার কারণে আপনার নাম্বারে চলে গিয়েছে,
ভাইয়া প্লিজ আপনি দুই হাজার টাকা রেখে আমাকে বাকি টাকা টা ফিরিয়ে দেন প্লিজ, না হলে খুব সমস্যায় পড়ে যাবো...

শেষে নিজের ৫ টাকা খরচ করে ২০,৪০০ টাকা'ই ফিরিয়ে দিলাম!

মেয়েটা বললো,- (তৃপ্তির একটা হাসি দিয়ে) অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ ভাইয়া, বললো, আপনাকে ২০০০ টাকা রেখে দিতে বলছিলাম !
আমি বললাম,- আপু আমি চাইলে পুরো টাকা টাই রেখে দিতে পারতাম! আমার জন্যে অনেক বেশি দোয়া করিয়েন, তাহলেই হবে!
মেয়েটা বললো,- আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ ও আজীবন দোয়া করবো, ভালো থাকবেন...

"আসলে মানুষের দোয়া আর ভালোবাসা এমন একটা জিনিস যা  কখনোই টাকা দিয়ে কিনা পাওয়া যায়না!"

*স্রষ্টা সকলকে সততার সাথে চলার তৌফিক দিক!

এস.এইচ রুবেল
আহমদীয়া টেলিকম
শান্তির হাট (দক্ষিণ গলি), পোমরা, রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম...
১৫.০৯.২০২০

Wednesday, January 5, 2022

বাবার সাথে ঘুরেবেড়ানো ছোটবেলার অন্যন্য এক স্মৃতি (ডায়েরি থেকে)

কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফ প্রথম যাওয়ার স্মৃতি টাও বাবার সাথে...

২০০২ কিংবা ২০০৩ সাল, আমার বয়স ৭ কিংবা ৮ বছর, জুমাবার, মুষলধারে বৃষ্টির হচ্ছে, আমি, বাবা, মা, ফুফু, ফুফাতো ভাই (সালাউদ্দিন, মহিন ভাইয়া), এসকান্দর মামা, জিপ থেকে নেমে বাবা আমাকে একহাতে বুকে জড়িয়ে নিলো আরেকহাতে মাথায় ছাতা ধরে হেঁটে চললো দরবার শরীফের দিকে!

দরবার শরীফে পৌঁছার পর বাবা, এসকান্দর মামা, মহিন ভাইয়া মসজিদে চলে গেলো, আমি আর সালাউদ্দিন মা আর ফুফুর সাথে 'কাতিব মঞ্জিলে' চলে গেলাম, সেখানে ফাতেমায়ে ছানী জামানার রাবেয়া বসরী রূহানী আম্মাজান (রহঃ) এর চরণ যুগল ছুঁয়ে ধন্য হলাম, *সে বছর 'গাউছুল আজম রাদিআল্লাহু আনহু' দরবার শরীফে ছিলেন না দেশের বাইরে ছিলেন...

সেদিন বিকেল বেলা বৃষ্টি থামলো, বাবা হাত ধরে আমাকে দরবার শরীফের পশ্চিমে হালদা নদীর তীরে (আজিম্মের ঘাট) নিয়ে গেলো, আমার এখনো স্পষ্ট মনে পড়ছে বাবা আমাকে বলছে * 'আঁর পুয়ারে বড়ো মাছঅর খেলা দেহাইয়ুম' অর্থাৎ সে ঘাটে ডলফিনের আনাগোনা থাকতো এর পর যখনই দরবার শরীফে যেতাম ওদিকে গিয়ে ডলফিনের খেলা দেখতাম!

*বাবা কর্ণফুলী জুটমিলে কর্মরত থাকাকালীন,  কর্ণফুলী জুটমিল' মাঠে  সে সময় একটি 'এশায়াত সম্মেলন' অনুষ্ঠিত হয় সেই সম্মেলনে গাউছুল আজম রাদিআল্লাহু আনহু তশরিফ এনেছিলেন, সেই সম্মেলনের কিছু স্মৃতি বাবা কোনদিন ভুলেনি,
সেই সম্মেলনের কিছু ঘটনা বাবা বলতো,  প্রায়ই স্মৃতিচারণ করতো!!

*সর্বশেষ বাবার গাউছুল আজম দরবার শরীফ সফর ২০১৮ সালে (জিয়ারত করে এসে আমাকে বললো- কথা হয়েছে, খুশি হয়েছি অ'পুত, আমি বুঝিনি কিছু, এখনো বুঝিনি, আমি শুধু জিজ্ঞেস করেছি স্যান্ডেল কোথায়? বাবা বলেছে ফেলে দিয়েছি, ওখানে স্যান্ডেল পড়া যাইনা, আমার লজ্জা লজ্জা লাগছে)

*বাবার 'পীর মোর্শেদ' ভিন্ন হলেও বাবা সব সময় বলতো 'পথ একটা' যেই যাই বলুক, কানে নিস না!
আমাকে সবসময় দরবার শরীফের কাজে সহযোগিতা করতো, আমার বুকটা ফেটে যাচ্ছে সর্বশেষ মিলাদুন্নবীর মাহফিল থেকে ফিরেছি, বাবা দরজা খুলে দিয়েছে জিজ্ঞেস করছে খেয়েছি কিনা😥

গাউছুল আজম রাদিআল্লাহু আনহুকে তিনির মাদরাসাকে বাবা মহব্বত করতো, তার প্রতিদানও বাবা পেয়েছে,  গাউসুস সাকালায়েন বড়পীর গাউছুল আজম রাদিআল্লাহু আনহুর 'বেছাল শরীফ' '১১ রবিউস সানি' ও খলিলুল্লাহ আওলাদে মোস্তফা গাউছুল আজম রাদিআল্লাহু আনহুর 'বেছাল শরীফ' 'বুধবার' আমি বিশ্বাস করি আমার বাবা ইনাদের সাথে করেই স্রষ্টার দিদার লাভ করেছে!
*নিঃসন্দেহে আমার বাবা জান্নাতি*

সকলের নিকট আমার বাবার জন্য দোয়ার আর্জি রেখে, আমার দীর্ঘ লেখার ইতি টানলাম...

'রাব্বানাগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়্যা ওয়া লিলমুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব'

#আঁর_বাপ
#নোট১০

সে এক 'ছায়ার' কথা বলছি, বলছি বাবার কথা (ডায়েরি থেকে)

আমার একটা গাছ ছিলো;
গাছটি আমাকে ছায়া দিতো
বাতাস দিতো, অক্সিজেন দিতো!
একদিন আচমকা এক ঝড়ো হাওয়ায় 
'গাছ'টা হারিয়ে গেলো...
এখন
আমার মাথার উপরের ছায়া নেই,
জীবনের প্রচণ্ড তাপে বাতাস নেই,
আমার অক্সিজেন কই?
আমার গাছটা নেই...

*আমার বুকটা দীর্ঘশ্বাসে ভারি হয়ে আসছে...

*‘ইয়া আইয়ুহাল্লাজিনা আমানুসতাঈনু বিসসবরি ওয়াস সলাতি; ইন্নাল্লাহা মাআস সাবিরিন...

#আঁর_বাপ
#নোট১১

বাবাকে নিয়ে লেখা 'কবিতা' | চাটগাঁইয়া | (ডায়েরি থেকে)

তোল্লই হাডাইদি অ'বা দিন ইয়িনুর হথা আইলি মনত, হাঁদানি আইয়ি বুক ফাডি, হইলজে যাইদে ছিড়ি,
আঁরে রাহি তুই ক্যানে গেলিগুই আল্লারত?

তোর ঐ আঁসিমুখ, দুনিয়ে ফরাই-ফেলানোর মত চোখ আঁই কি আর ন পাইজ্জুম চাইত?
অ'বা আঁরে কিল্লে রাই গেলি বিচ্ছেদ সাইগরত...
😭😭😭

#আঁর_বাপ
#নোট১২

মসজিদের প্রথম কাতারে বাবাকে খুঁজি (ডায়েরি থেকে)

মসজিদের প্রথম কাতারে (উত্তর দিকে)
অ'বা খুঁজি তোকে...

সবি আছে, একি কাতারে তোর সাথে বসা মানুষগুলোকেও দেখি, শুধু কোথাও তোকে দেখি না...

*চলে যেতে এত তাড়াহুড়া করলি কেনো?
আমি বুঝতে পারলাম না,
আমি ব্যার্থ একটা ছেলে ছিলাম তোর, ক্ষমা করবি না আমাকে?

তোর বিচ্ছেদ আমি আর সইতে পারছি না, ঘরে বাইরে কোথাও আমি তাকাতে পারছি না, সবখানে তুই...

*আল্লাকে বলে আমাকে নিয়ে যা তোর কাছে খুব তাড়াতাড়ি নিয়ে যা...

*তুই মানুষকে বলতি; 'আমার জন্য আমার ছেলে, 'আমার ছেলের জন্য 'আমি'!

এখন আমার জন্য রইলো কে?
😭😭😭

#আঁর_বাপ
#নোট১৩

বাবার স্মৃতিচারণ (ফেইসবুক পোস্ট)

খাঁ মসজিদের পুকুর ঘাট আর এই মানুষগুলোকে দেখলে আমার কলিজা ছিড়ে যাই!

' খাঁ মসজিদ', পুকুর ঘাট, জায়নামাজ, বাবার সঙ্গী, সবাই আছে! শুধু বাবা নেই...

বাবা জীবনের শেষ সময়গুলো 'খাঁ মসজিদের পুকুর ঘাট' আর এই মানুষগুলোদের সাথে কাটিয়ে গেল...

*এই মানুষটা বাবাকে নিয়ে 'স্মৃতিচারণ' করতে গিয়ে, 'বাবা সবাইকে বলত; 'আঁর পুয়ার লাই আঁই', 'আঁর লাই আঁর পুয়া'!

* সৈয়দুল মুরসালিন রহমতুলল্লিল আলামিন, গাউছে আজম বড়পীর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু, কাগতিয়ার গাউছে আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর উছিলায় আমার পিতাকে মহান স্রষ্টা জান্নাতে আলা মকাম 'জান্নাতুল ফেরদৌস' ও প্রিয় রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামার সাক্ষাৎ নছিব করুক...

*আমার বাবার 'প্রিয়মুখ-প্রিয়জন' যারা জীবিত আছেন স্রষ্টা সকলের হায়াতে অফুরন্ত বরকত দান করুক...
_আমীন

#আঁর_বাপ
#নোট১৪

বাবাকে নিয়ে লেখা কবিতা | চাটগাঁইয়া | (ডায়েরি থেকে)

আঁই ত আছিলাম অ'বা তুর নয়নর মনি
হৃদয় জুড়ি আছিল তুর ভালোবাসার হ'নি...

তুই অ'বা আজিয়ে নাই সুখ-দুক্কে আঁর ওয়াঁরে
তুই নাই অ'বা ভাবতেই দুই চোখুত শ'ওন (শ্রাবণ) মাসঅর ধারা নামে...

😭😭

#আঁর_বাপ
#নোট১৬

বাবাকে নিয়ে লেখা হয়নি যে কথা

ছেড়া লুঙ্গিকে কীভাবে ভাজের মধ্যে লুকিয়ে পরতে হয় বাবার কাছ থেকে শিখেছিলাম! অনেক যত্ন করে লুঙ্গি পরতো বাবা! এক লুঙ্গিতে তিন চার বছর অনায়াসে পার করে দিতো! ছোটবেলা থেকে বাবার পরনে নতুন লুঙ্গি ঠিক কখন দেখেছি আমার মনে পড়ে না! ঈদের আগে পুরোনো পাঞ্জাবি খানা বের করে দিতো মা! ধোপার বাড়ি ঘুরে এসে সেই পাঞ্জাবিই ঝকঝকে ঈদের পোশাক হয়ে উঠত!

নিজের জন্য নতুন কাপড়, এটা যেন বাবা ভাবতেই পারতো না! এটাকে স্রেফ বিলাসিতা আর অনর্থক অর্থ অপচয়ের কাতারেই রাখতো...

বাবার জীবন-যাপন সবটুকুই ছিলো আল্লাহর ওয়াস্তে!
নিজের জন্য কিছুই করেনি, বরং নিজের আইল কেটে পরের জমি বড় করেছে সারাজীবন...

আমার গরীব বাবার ঠোঁট জোড়া মধুর না হলেও অন্তরটা ছিলো বিশাল, হৃদয়টা ছিলো কোমল!
অভিমান ছিলো বাবার তীব্র, বাবা হুটহাট অভিমান করতো মার সাথে, আমার সাথে, কাউকে কিছু না বলে প্রায়ই চলে যেত বোনদের বাসায়!
রাতে গিয়ে যদি বাবাকে না দেখতাম, মাকে জিজ্ঞেস করতাম; বাবা কোথায়?
মা বলতো; তোর মেজো আপার কাছে গেছে, সকালে চলে আসবে!

😭😭

বাবার অভিমান দিন পেরিয়ে, রাত গড়িয়ে সকাল পর্যন্ত থাকতো, সেই যে বাবা চলে গেলো অভিমান করে 
'আজ ৪১টা দিন' হয়ে গেলো 'বাবা ফিরেনি',
'বাবা আর আসেনি', 'বাবা আর আসবে না,
মনটা বুঝতে চাচ্ছে না!
বাবার আদর, স্নেহ, ভালোবাসা, স্পর্শ থেকে আমি বঞ্চিত ভাবতেই চোখ ভিজিয়ে লাগাতার কাঁদতে চায় অশান্ত মন,
আমি হারিয়েছি আমার অনুপ্রেরণা, আমার শক্তি, আমার আত্মবিশ্বাস...
মন বলছে আমার নির্ভরতার আকাশ ভেঙে গেছে,
ভরসার অনুভূতি থেকে আজ আমি অনেক দূরে...

বাবা আমাকে আর অ'বা অ'পুত' বলে ডাকবে না, আর বলবেনা; অ'পুত আঁর ডাহে আই এক্কানা ব'য়'সুনা...

😭😭

*হে রব্বে ইলাহি, আমার পিতার সারাজীবন দুঃখে-কষ্টে কেটেছে, আমার পিতা এখন আপনার কাছে!
হে আল্লাহ, আমার পিতাকে শান্তি দান করুন, নাজাত দান করুন, আমার পিতাকে ক্ষমা করুন, সদা আপনার হাবীব ( সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর দিদারে মগ্ন রাখুন...

*হে আল্লাহ, আমার মাকে হায়াতে আবদী শেফায়ে দায়েমী দান করুন!
~আমীন, ছুম্মা আমীন...

*রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানি সাগিরা*

#আঁর_বাপ
#নোট২০

বাবাকে নিয়ে লেখা (আমার ডায়েরি থেকে)

"বন্ধু নাইরে বান্ধব নাই, আল্লাহ ছাড়া উপায় নাই, মুয়াব্বত'অর মানুষ পাইয়ুম হোন জায়গাত যাই"...?

এই লাইনগুলি বাবা গাইতো, পরের লাইনগুলি আমার মনে পরছে না!
আমি ছাড়া বাবার আর কোনো দুঃখ বা চিন্তা ছিলো না, হারদিন আমাকে নিয়েই ভাবতো, আমার চিন্তা করতো!😭
বাবা লাইনগুলি কেনো গাইতো আমি জানি না, লাইনগুলি গাইতে শুনলে আমি রাগ করতাম, বাবা আমাকে বলতো; তোকে বলছি না অ'পুত, তুই কেনো রাগ করছিস?

বাবার কন্ঠ সুমধুর, সকালে বাবার সুমধুর কন্ঠে 'দরূদে মোস্তফা' শুনে আমার ঘুম ভাঙতো!
বাসায় কেউ না থাকলে কোন কোন সময়, আমি নামাজ পড়ে হাঁটতে গেলে, বাবা রুটি বানিয়ে রাখতো, চা করে রাখতো!
আহা বাপ, হারিয়ে গেলি স্মৃতি গুলো রেখে, আমায় কাঁদিয়ে...
তুই চলে যাওয়ার পর প্রতিটা রজনী অশ্রুই ফজর হয়েছে!
তুই আমার স্বপ্নে আসিস না, এই ৪৬ দিনে শুধু একদিন আমার স্বপ্নে এসেছিলি...
আমার ঘুম হয়না, তুর কাশির শব্দ শুনি না, রাত-বিরাতে রেডিওটা কেউ আর বাজায় না...
আমিও আর বলি না "আঁর বাপ কি'রদ্দে এদ্দুর রাতিয়ে?

অ'বা, পত্তিদিন রাতিয়ে আঁর হোয়াপত আইস,
আঁরে এক্কানা দেহা দিয়ারে তুই যাইস...

*“রাব্বির হাম হুমা কামা রাব্বায়ানি সাগীরা”

#আঁর_বাপ
#নোট২২

বাবার স্মৃতি

প্রায় অর্ধ-শতবছর পুরোনো কাশ্মিরী এই শালটা 'দাদা'কে তার কোন এক প্রিয়জন উপহার দিয়েছিলো!
অনেকটা ছেড়া-ফাটা এই শালটা 'দাদা'র' মৃত্যুর পর 'বাবার' কাছে খুব যত্নে ছিলো!

এই শালটায় 'দাদার' আর বাবার গন্ধ পাই...

*তারা হারিয়ে যাই, তাদের স্মৃতি আমায় দিবানিশি কাঁদায়...